ফলে জনদূভোগ দেখা দিয়েছে দিরাই-সুনামগঞ্জ সিলেট আগত যাত্রীদের। অনেকই সকাল বেলা বাড়ীথেকে বের হলে ওউদ্দেশ্য মূলক গন্তব্য পৌছতে না পেড়ে বিরক্ত বোধ করছেন। অনেক আবার সিলেট সুনামগঞ্জ থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্য আসেন, কিন্তু বাড়ীতে না ফিরতে পারায় অতি বিরক্ত বোধ করছেন।পথ চারীদের মাঝে চরম ভূগান্তি দেখা গেছে।
শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নে আন্তরিক, ১৪টি নতুন সেতু হয়েছে এই সড়কে, সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন হচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ সড়কেরও বেহাল অবস্থা।
এই অবস্থায় যান চলাচল অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং বাধ্য হয়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি আমরা।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের বেহাল অবস্থা দূর করার জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্যাকেজের এই দরপত্রে অ্যানুয়েল প্রকিউরমেন্ট প্লান্টে ত্রুটি থাকায় দরপত্র স্থগিত করে পুনরায় সংশোধিত দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে আবার মার্কিন সিস্টেমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। অংশগ্রহণ করেন ৫ জন ঠিকাদার। সর্বনিম্ন দরদাতা হয় জয়েন্টভেঞ্চারে তমা কন্সট্রাকসন ও সজিব রঞ্জন দাস। সওজ’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই দরপত্রও বাতিল করা হয়। সওজ’র সিলেটের সুপারেন্টেড অফিস গত এপ্রিল মাসে তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করে।
এই দরপত্র গ্রহণের আগে পূর্বের সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদার সজিব রঞ্জন দাস বাদী হয়ে আদালতে রীট করেন। আদালত দরপত্র কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।